ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সিলেট ডা. শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের জন্য কষ্টের। আমরা একজন চিকিৎসককে হারালাম।’
চলতি বছরের ৫ এপ্রিল (রোববার) সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে ওই চিকিৎসকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনিই সিলেটে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। পরে ওই রাতেই নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় চিকিৎসকের বাসা লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। পরদিন ৬ এপ্রিল (সোমবার) পুরো হাউজিং এস্টেট এলাকা লকডাউন করা হয়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে ৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ১১টার দিকে তাকে নগরের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে (সদর হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। ৮ এপ্রিল (বুধবার) উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
পরে বিষয়টি নিয়ে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ডা. মঈনের পরিবারের ইচ্ছায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখানে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডা. মঈনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার (১৩ এপ্রিল) তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডা. মঈন উদ্দিন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন। তার চেম্বার ছিল নগরের সুবহানিঘাট ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানে তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন ও রোগী দেখতেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে কোনো প্রবাসী করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন।
এদিকে, তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় সংস্পর্শে থাকা চিকিৎসকসহ ১৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। পরে তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
করোনায় মৃত্যুবরণকারী ডা. মঈন সিলেটের সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিদ্দিক আলীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। ডা. মঈন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ইন্টারনাল মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান।